১০ম উদারতা দিবস ২০২৫ এর ক্ষন গণনা

Days
Hours
Minutes
Seconds

উদারতা যুব ফাউন্ডেশন

উদারতা যুব ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা,  মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান  আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার,  কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন,  বহুমুখী শিক্ষায়ন প্রকল্প পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা গঠনে নিরন্তর নানা কর্মসূচি পালন করছে। সাহিত্য,সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও পুরাতন সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজকে অতীত ও বর্তমান ধারা সম্পর্কের বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন করা। সমাজ থেকে মাদক পরিহার এবং মাদকাসক্তদের পূর্ণবাসন ও কর্মসংস্থানের তথা বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আয় বর্ধন মূলক কর্মে উদ্বুদ্ধকরণ। 

  • রক্তদান কার্যক্রম
  • দক্ষতা উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষন
  • প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন
  • বৃক্ষরোপন কার্যক্রম
  • গৃহ নির্মান কার্যক্রম
  • শিক্ষা কার্যক্রম
  • ত্রান কার্যক্রম
  • কর্মসংস্থান তৈরি

চলুন একসাথে একটি পরিবর্তন নিয়ে আসি

আমাদের কার্যক্রমের অংশ বিশেষ

যুব ভবন নির্মাণ

যুব প্রশিক্ষনের জন্য ’যুবভবন’ নির্মাণ এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। স্বেচ্ছাসেবী এবং যুবদের জন্য কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও যুব কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির নিমিত্ত বহুতল যুবভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা।উদারতা যুব ফাউন্ডেশন পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে একই ভেন্যুতে বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা।

যাকাত তহবিল

যাকাত বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে:
যাকাত হল একটি প্রতিশ্রুতি যা দ্বারা অসহায় ও অভাবীদের সহায়তা করে তাদের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যাকাতের এই বিধান গরিবদের হক ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আল্লাহ নাযিল করেছেন। প্রতিটি বিবেকবান, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান যিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে ধন-সম্পদের মালিক – যা ‘নিসাব’ নামে পরিচিত তাকে অবশ্যই তার সম্পদের ২.৫% যাকাত হিসাবে দিতে হবে। যাকাত প্রদান করার মাধ্যমে আপনি কেবল নিজের দায়বদ্ধতাই পূর্ণ করেন না বরং একটি মলিন মুখে হাসি তৈরি করেন এবং তাদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অনুপ্রেরনা প্রদান করেন।যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
সুরা আত-তাওবা – ৯:৬০
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে যাকাত কিভাবে বিতরণ করতে হবে তা উল্লেখ করেছেন। আল কুরআন ও হাদিসের গাইডলাইন অনুসারে উদারতা যুব ফাউন্ডেশন, যারা হত দরিদ্র এবং অসহায় তাদের নিকট আপনাদের প্রদান করা যাকাত বিতরণ করে। বেশিরভাগ আলেমগণ ও ফকীহগন এই ব্যাপারে একমত যে যাকাত গ্রহণের জন্য দরিদ্র ও অভাবী লোকেরা সবচেয়ে বেশি উপযোগী। আমাদের প্রতিষ্ঠিত এইড চেইন, দক্ষ টীম, নিরলস প্রচেষ্টা এবং দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আপনার যাকাতকে সবচেয়ে উপযুক্ত লোকের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম এবং যারা যাকাত গ্রহন করছেন তাদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করি।
২০১৫ সাল থেকে আমরা সারা সাতক্ষীরাতে মানবিক ও টেকসই সহায়তা সরবরাহ করে আসছি।
যাকাত প্রদানে যে খাত গুলোকে আমরা গুরত্ব দেই:
বিধবা ও দরিদ্র শিশুদের স্বাবলম্বী করা
অভাবীদের সহায়তা প্রদান
জরুরী চিকিৎসা সহায়তা সরবাহ
দক্ষ জনবল তৈরির প্রশিক্ষন প্রদান করে তাদের উপার্জনক্ষম করা
যাকাত গণনাঃ
যাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা। নিজের আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ কম সৌভাগ্যবান মানুষকে দান করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার পাশাপাশি দেশজুড়ে অসহায় ভাই-বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন। যাকাত দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারেন কারো জীবন, ফোটাতে পারেন তার প্রিয়জনের মুখে হাসি। হতে পারেন কারো বিপদের বন্ধু। ফিকহ অনুসারে নিসাব পরিমাপ করা হয়ে থাকে, এই পরিমাণ হচ্ছে ৭.৫ তোলা স্বর্ণ (৬১২.৩৬ গ্রাম) কিংবা ৫২.৫ তোলা (৮৭.৪৮ গ্রাম) রৌপ্য অথবা সমপরিমাণ অর্থ।

সাধারণ তহবিল

সাধারণ দান ফাউন্ডেশনকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। সাধারণ দানের অর্থেই মূলত: সকল কল্যানমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাধারণ দানের জন্য কোনো অংক নির্দিষ্ট নেই, যে কোনো পরিমাণ দান করা যায়।

ইফতার কার্যক্রম

WhatsApp Image 2024-11-14 at 7.47.22 PM
নিয়মিত কর্মসূচির মধ্যে একটি হলো ইফতার ও রামাদ্বান ফুড বিতরণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী সিয়াম পালনকারীরা যেন রামাদ্বান মাসে নির্বিঘ্নে সিয়াম পালন ও ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে ফাউন্ডেশন।

সবার জন্য কুরবানী

অনেক অভাবী মানুষ বছরে কেবল কুরবানীর ঈদেই গরু বা ছাগলের গোশতের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান। সে কারণে প্রতি বছর ‘সবার জন্য কুরবানী’ শিরোনামে উদারতা যৃব ফাউন্ডেশন কুরবানীর গোশত বিতরণের আয়োজন করে। কুরবানী এমন একটি ইবাদত, যা প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পাদন করা যায়। উদারতা যৃব ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি হিসেবে সচ্ছলদের পক্ষ হতে কুরবানীর দায়িত্ব গ্রহণ করে। কুরবানী করে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে গোশত বিতরণ করা হয়। যারা কোনো কারণে নিজের কুরবানী নিজে করতে পারছেন না, কিংবা নিজ এলাকায় কুরবানীর পাশাপাশি দরিদ্র অঞ্চলে আরেকটি কুরবানী করতে ইচ্ছুক, তাঁরা উদারতা যৃব ফাউন্ডেশনকে কুরবানীর দায়িত্ব দিতে পারেন। আপনার একটি কুরবানী অনেক অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। আপনার পশুটি কোথায় এবং কখন কুরবানী হবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে ইন-শা-আল্লাহ।

শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন

ইসলামের অন্যতম শিক্ষা মানবসেবা। কনকনে শীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় শীতার্ত মানুষদের একটুখানি উষ্ণতা এনে দিতে উদারতা যুব ফাউন্ডেশন প্রতি বছর আয়োজন করে ‘শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি’।

স্বনির্ভর কার্যক্রম

IMG-20220207-WA0010
‘স্বনির্ভর’ উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের একটি স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্প। বেকার ও অদক্ষ নারী-পুরুষকে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য (আলাদাভাবে) কারিগরি প্রশিক্ষণ পূর্বক আর্থিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি একই সময়ে তাঁরা যাতে মৌলিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং নীতিবান ও বিশ্বস্ত নাগরিত হন, এজন্য তাদেরকে প্রখ্যাত স্কলারদের মাধ্যমে মৌলিক শিক্ষাদান করা হয়। যেন এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সবাই আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বীও হতে পারেন, পাশাপাশি সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন।
আমরা মনে করি— শুধু প্রশিক্ষণ, অর্থ ও উপকরণ-সহায়তা প্রদান অনেকের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বিতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য আমরা ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রশিক্ষিত, আর্থিক ও উপকরণ-সহায়তাপ্রাপ্তদের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করি, খোঁজ-খবর রাখি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। এভাবে আমরা দীনদার সুদক্ষ কর্মজীবী জনগোষ্ঠী তৈরিতে ভূমিকা রাখি।

জরুরী বন্যার্তদের মাঝে সহযোগিতা

প্রতিবছর বর্ষাকালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এলাকা (১৮%) বন্যায় প্লাবিত হয়। এ সময় বিশেষ ভাবে দেশের দক্ষিন অঞ্চলের বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। উদারতা যুব ফাউন্ডেশন দেশের বন্যাকবলিত এলাকাতে প্রতিবছরই ত্রাণ কার্যক্রম ও দুর্দশাগ্রস্ত-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে থাকে।

বৃক্ষরোপন কার্যক্রম

বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বৃক্ষহীনতা। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছের সংখ্যা। বর্তমান পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে তথা মানবসভ্যতার সুরক্ষার জন্য মহানবী সা.–এর মহান সুন্নাত বৃক্ষরোপণ অতীব প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে উদারতা যুব ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইন-শা-আল্লাহ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতি বছর সারাদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফলজ গাছগাছালি লাগানো হবে।

রক্তদান কার্যক্রম

রক্তের বিকল্প রক্ত। বিশুদ্ধ রক্ত। স্বেচ্ছা রক্তদানই যার প্রধান উৎস। স্বেচ্ছা রক্তদানে সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ যত বাড়বে বিশুদ্ধ রক্তপ্রাপ্তির সম্ভাবনাও তত বাড়বে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজনে ও থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রক্তরোগে আক্রান্তদের রক্তের চাহিদা গড়ে ৮-১০ লক্ষ ইউনিট। বছরে লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত সরবরাহের মধ্য দিয়ে মোট চাহিদার একটি বড় অংশ আসে পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে, যাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত ও নানা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। যার দরুন দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে রক্তগ্রহীতাদের।
সমাধান একটাই। স্বেচ্ছা রক্তদানে আরো বেশি মানুষের অংশগ্রহণ। সে লক্ষ্যেই ৮ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় চার হাজার রক্তদাতার ডোনারপুল তৈরি করেছে উদারতা। সাতক্ষীরাতে বিস্তৃত হয়েছে স্বেচ্ছা রক্তদানের সংস্কৃতি।
তবে এখনো যেতে হবে অনেকটা পথ। আমার আপনার সবার সচেতনতায় সম্ভব দেশে মোট রক্ত চাহিদার সবটাই স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে পূরণ করা।
তাই আসুন, নিয়মিত রক্তদান করি। রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করি। রক্তের অভাবে যেন হারাতে না হয় কারো প্রিয়জন, স্বজন। কারণ রক্তের কোনো বিকল্প নেই।

দক্ষতা উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষন

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অন্যতম চালিকাশক্তি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা। কিন্তু কারখানা সঙ্গে প্রয়োজনীয় বা সংগতিপূর্ণ শ্রমিক গড়ে উঠছে না। আবার দেশের প্রচলিত কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কারখানায় কাজ করতে পারছে না।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বে চলছে নব শিল্পবিপ্লবের উৎসব। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে না পারলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে যেন বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়।
প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নারী পুরুষ বৈষম্য দূর করে সমাজের নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে উদারতা যুব ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নারীদের কর্মজীবী করে গড়ে তুলতে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়

গৃহ নির্মান কার্যক্রম

গৃহহীনদের মাঝে নতুন ঘর উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মাথা গোজার ঠাই করে ‍দিচ্ছে উদারতা।

শিক্ষা কার্যক্রম

শিক্ষা সংকট মেধা ও গুণীর অবমূল্যায়নের সন্ধিক্ষণে প্রতিকূলতাকে জয় করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও মনণের বিকাশে এবং নৈতিক উৎকর্ষতা সাধনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় “ উদারতা যুব ফাউন্ডেশন ”। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই মেধাবী সংবর্ধনা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মেধা যাচাই, শিক্ষা সফর, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, Word Power Competition, Talent Search, দেয়ালিকা প্রকাশসহ নানামুখী গঠনমূলক কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও উদারতা যুব ফাউন্ডেশন স্কুল ভর্তি সহায়িকা, JSC ও PECE সাজেশান ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠোন্নতির ব্যাপারে দিচ্ছে সঠিক দিক নির্দেশনা। এরই অন্যতম ধারাবাহিক সৃজনশীল কার্যক্রম হল উদারতার বিভিন্ন বৃত্তি প্রকল্প। ৩ য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত উদারতা বৃত্তি পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে ব্যাপক উৎসাহ যোগাচ্ছে। বিগত পরীক্ষাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের আশাতীত অংশগ্রহণ এবং সম্মানিত শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধী জনের অকৃত্রিম সহযোগিতা ও পরামর্শের ভিত্তিতে উদারতা বৃত্তির পরিধিকে আরো অধিক বিস্তৃত করে পুরো সাতক্ষীরাতে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক-অভিভাবিকা মণ্ডলীর প্রতিনিয়ত সহযোগিতা আমাদের অনুপ্রেরণার একমাত্র উৎস।

অসহায়দের মাঝে খাদ‌্য সহায়তা

‘মানুষ মানুষের জন্য, তবেই জীবন ধন্য’ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সংগঠনটি দুস্থ ও অসহায় আবাসন কেন্দ্র, সমাজ সংস্কারমূলক কর্মসূচী গ্রহন, যুব উন্নয়নমূলক কর্মসূচী, দুর্যোগকালীন ত্রান বিতরণ কর্মসূচী, ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন ও অসহায় মানুষের সহায়তা প্রদান সহ বহুবিধ সমাজিক কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সংস্থাটি গরীব দুঃখীদের নিয়ে কাজ করে। সমাজের অনেকের দুঃখ আছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না, তাদের জন্য আমাদের এ আয়োজন। সামর্থ্যবানরা এমন সেবামূলক কাজে এগিয়ে আসবেন।

ক্রীড়া কার্যক্রম

যুব সমাজকে খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্বুদ্ধ করে তোলা। গ্রামীণ খেলাধুলার উন্নয়ন ও প্রসারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা। ক্রীড়া সংক্রান্ত বই, সাময়িকী ইত্যাদি প্রকাশনার ব্যবস্থা করা। ক্রীড়া সংস্থা/ ক্লাব/ ইউনিয়ন/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে ক্রীড়া বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা।