আমাদের সম্পর্কে

উদারতা যুব ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা,  মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক সরকার-নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। নিবন্ধন নম্বর: সাত/নি নং- ৬৯। ২০১৫ সালে জুবায়ের আহম্মেদ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। এই প্রতিষ্ঠান আর্তমানবতার সেবা, সমাজ-সংস্কার, মহোত্তম নীতিচেতনার সঞ্চার, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা গঠনে নিরন্তর নানা কর্মসূচি পালন, সর্বোপরি একটি আদর্শ কল্যাণসমাজ বিনির্মাণে যথাশক্তি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

  •  (ক) বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮৮% লোক গ্রামে বসবাস করে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮৮% দারিদ্র ও অশিক্ষিত। সমাজে এই দারিদ্র শ্রেণীর মানুষের উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দিক নির্দেশনা ও এই বৃহৎ জনগোষ্ঠী যাহাতে ব্যক্তিগত ভাবে নিজস্ব ও পরিবেশের সমস্যাবলী সম্পর্কে সচেতন হয়ে সমাধানের পথ খুজে পেতে পারে এবং তাদের সামাজিক ও মানবিক মর্যাদাবোধ গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
  • (খ) সমাজের দারিদ্রতম জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বক্রিয় অংশগ্রহন করা এই লক্ষ্যে বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উদ্ভাবন ও পরিচালনা করা ।
  • (গ) দেশকে নিরক্ষরতা অভিশাপ মুক্ত সমাজ গঠনে সবার জন্য শিক্ষা, সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, বয়ষ্ক শিক্ষা, নৈশ শিক্ষা বাস্তবায়ন করা।
  •  (ঘ) প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ফলজ, বনজ এবং ঔষধি বনায়নের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা। পরিবেশের উপর বিভিন্ন পরিবেশ উন্নয়ন বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অত্র সংস্থার নিকট ক্ষুদ্র বৃক্ষ সংরক্ষণ কর্মসূচীতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং পরিবেশের উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যক্রমকে মান সমুন্নত রাখার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংস্থা কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রকল্প সম্পর্কে সেমিনার, ওয়ার্কসপ ও পরিবেশকে পরিষ্কার সাতক্ষীরা জেলাকে পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুন্দর বাস উপযোগী পরিবেশ করা। এ জন্যই সরকারী ও বে-সরকারী সহায়তা ও নেটওয়ার্কিং করা।
  • (ঙ) অশিক্ষিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতার তাড়নায় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারে না তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে ডায়রিয়া, কৃমি, য²া. এইডস, কুষ্ঠ, জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি, রক্তদান, মরোন্নোত্তর চক্ষুদান এবং আর্সেনিক মুক্ত পানি পানে উৎসাহ প্রদান করা। এ ছাড়া প্রতিষেধক ব্যবস্থা হিসাবে রিং ¯øাব ও ওয়াাটার ফিল্টার সরবরাহের মাধ্যমে সংক্রামক ব্যাধি থেকে জন সাধারণকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে জনগোষ্ঠিকে জনসংখ্যা সম্পর্কে সচেতন করা ও সক্ষম দম্পত্তিদের জন্মনিয়ন্ত্রনের সরঞ্জামাদি সরবরাহ এবং ইচ্ছুক দম্পত্তিদের স্থায়ী বন্ধ্যাকরণে উদ্বুদ্ধকরণ। অতঃপর গ্রাম বাংলার আবাল-বনিতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। 
  • (চ) সমাজ গড়ার মন্ত্রে দীক্ষিত করে সমাজ থেকে যৌতুক প্রথার বিলুপ,অন্যায়-অনাচার তথা সকল প্রকার অশান্তি নির্মূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করা ।
  • (ছ) শিশু,পথশিশু,যুবক ও নারী কল্যাণ,শারিরীক এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের এবং এতিমদের পেশা ভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেওয়া ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বেকার ছেলে-মেয়েদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নী দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাস্তবমুখী কর্মসূচী গ্রহন করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সমাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখার জন্য অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করানো।
  •  (জ) পল্লী এলাকার রাস্থাঘাট প্রস্তুত, মোরামত, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ও সার্বিক সহযোগিতারমাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা।
  • (ঝ) দরিদ্র জনসাধারণের বেকারত্ব ও কর্মের উৎস সৃষ্টির লক্ষ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের মাধ্যমে দর্জি প্রশিক্ষন, মৌ-পালন,উল বুনন,বাঁশ ও বেতের মাধ্যমে ঝুড়ি,কুলা, ধামা,কামার কুমারের প্রভৃতি ব্যবহারিক জিনিসপাত্র তৈরির প্রশিক্ষন দেওয়ার উপকরণ সংগ্রহ এবং স্বল্প মূল্যে বিদেশী উন্নতমানের হাঁস-মুরগীর বাচ্চা বিতরনের মাধ্যমে জনসাধারনের পারিবারিক আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।
  • (ঞ) সাহিত্য,সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও পুরাতন সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজকে অতীত ও বর্তমান ধারা সম্পর্কের বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন করা। গ্রাম বাংলার জনগনকে সাধারণ পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক গনসচেতনা বৃদ্ধি করা ও মাসিক পত্রিকা সম্পাদন করা এবং উন্নয়নের স্বার্থে বাস্তব ভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রকাশনা প্রকাশ করা অনুমোদন সাপেক্ষে ।
  • (ট) পল্লীর জনসাধারণ অধিকাংশ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নতিতে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে সকলকে কাজে উৎসাহিত করা এবং কৃত্রিম ও বৈজ্ঞানিক উপায়ের মাধ্যমে টেকসই উৎপাদন খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করে তুলতে উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবনে ইতিবাচক সাড়া যোগাতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা সংস্থা কর্তৃক, সরকারী ও আধাসরকারী সংস্থার সাহায্য।
  • (ঠ) ভূমিহীন বিত্তহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টনে প্রশাসনকে (ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে) সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা। বিত্তহীন ও ভূমিহীনদের আবাসন প্রকল্পে আনায়ন করা।
  •  (ড) প্রত্যন্ত অঞ্চলের এতিমদের নিয়ে ধর্মীয় ভিত্তিতে এতিমখানা স্থাপন ও পরিচালনা করা। বিভিন্ন দেশী বিদেশী সংগঠন বা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ।
  •  (ঢ) মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে ব্যাপকতর ভূমিকা রাখার জন্য গবেষণাগার স্থাপন করা।
  • (ণ) প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছানোর জন্য নিকটস্থ সেবা সংঘের/সংস্থার মাধ্যমে করা যাহা উদারতা যুব ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
  •  (ত) গ্রামীন পর্যটক সৃষ্টির লক্ষ্যে ঐতিয্যবাহী স্থান সমূহ তথা বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনে উৎসাহিত করা।
  • (থ) নতুন পুকুর খনন ও ব্যবহার অনুযায়ী পুরাতন পুকুর সংস্কারের মাধ্যমে সংক্রামক ব্যাধি থেকে
    বিদ্যালয় এবং কিন্ডার গার্ডেন প্রোগ্রাম চালু ও ব্যবহারিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজ ততা দেশকে আদর্শ দেশ হিসাবে পরিগণিত করা। জনসাধারনকে যুক্ত রাখা ও দেশী বিদেশী সংস্থার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাস্তব বাণী ও করণীয় পদ্ধতি এবং সমগ্র তথ্য প্রচার ভূমিকায় কাজ করা।
  •  (দ) সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে উন্নয়ন মূলক কাজের সাধন করা।
  •  (ধ) চিত্ত বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনডোর, আউটডোর গেম, ফুটবল, ভলিবল, দাবা, কেরাম ও ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলাধুলার সামগ্রী সংগ্রহ ও স্বাস্থ্য ব্যায়ামাগার তৈরি করা ।
  •  (ন) নারী সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে লক্ষ্যে কাজ করা ।
  • (প) সমাজ থেকে মাদক পরিহার এবং মাদকাসক্তদের পূর্ণবাসন ও কর্মসংস্থানের তথা বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আয় বর্ধন মূলক কর্মে উদ্বুদ্ধকরণ। এ ছাড়াও স্থান,কাল ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন প্রকল্প যাহা গ্রামীণ অর্থনীতি তরান্বিত,মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য দারিদ্র শ্রেণীর মানুসেরা বিশেষ করে নারী ও শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী এবং এতিম,প্রবীণদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক শিক্ষা ও ব্যক্তিগত ভাবে সমস্যাবলী সম্পর্কে উক্ত ধারা ও উপধারায় অনুল্লেখ্য । তাহা চলমান কর্মসূচীতে কার্যকারী পরিষদ কর্তৃক সংযোজিত করা যাবে নিবন্ধনকারীর অনুমোদন সাপেক্ষে ।
  • (ক) আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি সমাজের অবহেলিত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের সামাজিক ও মানসিক করে তোলার লক্ষ্যে তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমিতি গঠনের মাধ্যমে কর্মসূচি গ্রহণ করা।
  • (খ) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণের উৎসাহ সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সহায়তা করা।
  • (গ) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এলাকার জনসংখ্যা রোধ করার জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
  • (ঘ) বেকারত্ব রোধে বিকল্প কর্ম সংস্থান সৃষ্টি এবং স্বল্প আয় সম্পন্ন ভূমিহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমাবায় ভিত্তিক কুঠির শিল্প স্থাপন,হাঁস-মুরগী,পশু পালন, মৎস্য চাষ সহ নানাবিধ অর্থনৈতিক কাজে অনুপ্রেরণা ও সংগঠনকল্পে টার্গেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সক্রিয় সহায়তা করা।
  • (ঙ) ১) শিশু কল্যাণ ২) যুব কল্যাণ ৩) নারী কল্যাণ ৪) শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ ৫) পরিবার কল্যাণ ৬) অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে মানুষকে দূরে রাখার জন্য চিত্ত বিনোদন মূলক কার্যক্রম ৭) সামজিক শিক্ষা যেমন-বয়স্ক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা,শিশু-কিশোর শিক্ষা ও কেজি শিক্ষার মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ববোধ উন্নয়নে সহায়তা করা ৮) মুক্ত কয়েদী কল্যাণ ও পূর্ণবাসন ৯) কিশোর অপরাধী সংশোধন মূলক কার্যক্রম ১০) শারীরিক বিকলঙ্গদের কল্যাণ ও পূর্ণবাসন ১১) এতিম দুস্থ ও ভিক্ষুকদের কল্যাণ ১২) রোগীদের সেবা ও পূর্ণবাসন ১৩) বয়স্ক ও অক্ষমদের কল্যাণ ১৪) সমাজ কর্ম প্রশিক্ষণ ১৫) মাদকাসক্ত প্রতিরোধ ও পূর্ণবাসন ১৬) নারী ও শিশু পাচার রোধ ১৭) স্বাধীন ভোট প্রদান করার ক্ষমতায়ন করা ১৮) স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ে কাজ করা ১৯) বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সদস্য হওয়া।
  • ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের দানের অর্থে ক্রীত সম্পত্তি ও তহবিল দিয়ে যাত্রা শুরু।
  • সদস্য, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এককালীন ও নিয়মিত অনুদান
  • ফাউন্ডেশনর যে কোন প্রকল্প থেকে অর্জিত হয়
  • জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষ কোনো খাতে প্রদত্ত অনুদান
  • সচ্ছল মুসলিমদের প্রদেয় যাকাত, ফিতরা।
  • ইফতার ও কুরবানীসহ বিশেষ বিশেষ খাতে উসুলকৃত অর্থ।
  • সরকারি বা বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান ও অর্থসহায়তা
    বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিচালনা বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট থেকে কর্তনকৃত ৫-১০% অ্যডমিনিস্ট্রেটিভ খরচ।
     
  • দাতাগণ যে খাতের জন্য দান করে থাকেন, সে খাতেই ব্যায় করা হয়। এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা হয় না।
  • যাকাত তহবিলে সংগৃহীত অর্থের শতভাগ হকদারদের মাঝে বণ্টন করা হয়।
  • প্রতিটি প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
  • বছরে একবার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দ্বারা ফাউন্ডেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষণ করা হয়।
  • হিসাব-বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত টীমের তত্ত্বাবধানে উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের সকল আর্থিক কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।